জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত: আপিল বিভাগে নতুন নির্দেশনা
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা-এ আদালতের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ২০১৮ সালে বিশেষ জজ আদালত-৫ এর রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরবর্তীতে হাইকোর্ট-এ আপিল করার পর ১০ বছরের কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছিলেন, যা আজ মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ, ১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ, নেতৃত্বে ছিলেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, এই আদেশ দেন। এর মাধ্যমে খালেদা জিয়া আপিল করার অনুমতি পেলেন, এবং রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত হয়ে গেলো। বাংলাদেশের আদালত-এর এই নতুন সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতি ও আইন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
আপিল বিভাগ এর আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল প্রথম আলোকে জানান, "সাজাসংক্রান্ত উভয় রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।"
এই মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেয়, যেখানে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করেন, এবং ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায়ে তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর, ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
গতকাল ১০ নভেম্বর ২০২৪, রোববার, আপিল বিভাগের শুনানি শেষে আজ এই আদেশ দেওয়া হয়। আদালত উল্লেখ করেছে, লিভ মঞ্জুর করা হয়েছে এবং উভয় রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল, এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান।
এছাড়া, গত ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর, ৩ নভেম্বর হাইকোর্ট-এ করা আবেদন মঞ্জুর হলে, খালেদা জিয়া বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরির জন্য অনুমতি পান।
এটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা খালেদা জিয়ার ভবিষ্যৎ আইনি পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
rn raihan