মাহিনের প্রায় হারিয়ে যাওয়া ডায়েরি: একটি সত্যিকারের রোমাঞ্চ

মাহিনের প্রায় হারিয়ে যাওয়া ডায়েরি: একটি সত্যিকারের রোমাঞ্চ








শুরুর অংশ:

মাহিন ছিল একজন চঞ্চল এবং কৌতূহলী ছেলে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে ছিল রহস্যের প্রতি অদ্ভুত আকর্ষণ। কোনো পুরোনো জিনিসপত্র দেখলেই মাহিনের মাথায় রহস্যের গন্ধ লাগতো, আর সেই গন্ধ তাঁকে টানতো অনেক দূর অবধি। তাঁর বাড়ির পুরোনো আলমারিতে একটা পুরনো ডায়েরি খুঁজে পেলে কী হতে পারে, সেটা মাহিন নিজেও জানতো না। কিন্তু সেই দিন ছিল অন্য রকম।



গল্পের বিস্তারিত অংশ:

এক শনিবার সকালে, মা তাকে পাঠালেন ঘরের পুরনো আলমারি থেকে কিছু পেপার খুঁজে বের করতে। পুরোনো বই আর কাগজপত্রের মাঝখানে একটি ছোট, ধূলোমাখা ডায়েরি আবিষ্কার করলো মাহিন। ডায়েরির পাতাগুলি ফিকে হয়ে গিয়েছিল, কভারটাও প্রায় ছেঁড়া। কৌতূহলবশত সে ডায়েরিটি খুলল, আর তখনই তার চোখে পড়ল "১৯৮৫ সালের রহস্যময় ঘটনা" নামে এক শিরোনাম।

ডায়েরির প্রতিটি পৃষ্ঠা ভর্তি ছিল এক ধরনের সংকেত আর চিহ্ন দিয়ে, যা মাহিনের কাছে অদ্ভুত মনে হচ্ছিল। কিন্তু একটা বিশেষ বাক্য তার মনোযোগ কেড়ে নিল - "যদি রহস্য সমাধান করতে পারো, তাহলে তোমাকে অপেক্ষা করছে এক চমকপ্রদ পুরস্কার।" মাহিনের মনে হলো, যেন তাকে কেউ ভবিষ্যতে পৌঁছে দিয়ে গেছেন এই ডায়েরি রেখে।


রহস্য সমাধানের পথে:

মাহিন ডায়েরির সংকেতগুলির অর্থ বের করতে শুরু করল। সে এক এক করে প্রতিটি সংকেত নিয়ে গবেষণা করতে লাগল। কিছু সংকেত তাকে স্থানীয় মিউজিয়ামে নিয়ে গেল, কিছু তাকে শহরের প্রাচীন কবরস্থানে। এভাবে মাহিনের রোমাঞ্চকর যাত্রা শুরু হয়। প্রতিটি সংকেত তাকে এক নতুন স্থানে পৌঁছে দেয়। কখনো রাতের আঁধারে, কখনো বন্ধ কোনো দোকানের পেছনের দরজায় সে গিয়ে দেখে, ছোট ছোট চিরকুটে কিছু সংকেত লেখা।

এক সময় সে দেখতে পেল, প্রতিটি সংকেতই এক বিশেষ স্থান নির্দেশ করছে – যেন কেউ তাকে ১৯৮৫ সালের ঘটনা পুনরায় খুঁজে বের করার পথ নির্দেশ দিচ্ছে। একবার সে জানতে পারল যে, তার এক দাদার সঙ্গে এই ডায়েরির সম্পর্ক আছে। দাদা রহস্যময়ভাবে হারিয়ে গিয়েছিলেন এই শহর থেকেই।


শেষ পর্ব:

অবশেষে মাহিন এক গোপন ঘর খুঁজে পায়। ঘরের মাঝখানে ছিল একটি পুরোনো, তালাবদ্ধ লোহার সিন্দুক। অনেক কষ্ট করে মাহিন সিন্দুকের তালা খুলে, আর ভেতরে দেখে এক প্যাকেট চিঠি। চিঠিগুলি তার হারিয়ে যাওয়া দাদার লেখা। এতে ছিল তাঁর জীবনের কিছু মজার ঘটনা, একটি গোপন প্রণয়ের কথা, এবং শেষ অবধি তাঁর সেই রহস্যময় অন্তর্ধান।

মাহিন বুঝতে পারল, তার দাদা হয়তো উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই সংকেতগুলি রেখে গেছেন, যাতে কেউ একদিন তাঁর এই রহস্যময় জীবনকাহিনী খুঁজে পায়। চিঠিগুলি পড়ে মাহিনের মনে হলো, যেন সে তার দাদার সঙ্গে একটি সময়ে বসে তাঁর কাহিনী শুনছে। দাদার অদ্ভুত জীবন এবং রহস্যের প্রতি তাঁর প্রেম দেখে মাহিন এক ধরনের অদ্ভুত তৃপ্তি অনুভব করল।

গল্পটি ওয়েবসাইটে পোস্ট করার আগে শেষটুকু চমকপ্রদ করতে পারেন।


শেষ লাইন:

"মাহিনের মনটা আশ্চর্য তৃপ্তিতে ভরে উঠল। সে শুধু একটা ডায়েরি আবিষ্কার করেনি, সে যেন তার হারানো পরিবারের এক নিখোঁজ অংশকেও খুঁজে পেয়েছিল।"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url